Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
ভিজিডি ২০১৯-২০ চক্রের সফল উপকারভোগী
ডাউনলোড

সীমা আক্তার:-
মোবাইল- ০১৭৩৫৯৪৮২৯৫
অভাব ও দারিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করে চলছিল সীমা আক্তারের সংসার। দিনমজুর স্বামীর সংসারে তিন সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে দিনযাপন করছিলেন সীমা আক্তার। ঠিকমত তিন বেলা ভরপেট ভাত সন্তানদের জন্য যোগাড় করতে না পারা, বাচ্চাদের স্কুলের খরচ ঠিকমত যোগাড় করতে না পারার কষ্ট তাকে দিন দিন হতাশার দিকে ঠেলে দিচ্ছিল। 
সীমা আক্তার সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বড্ডাপাড়া গ্রামের দেবরের জমিতে দু’চালা টিনের ঘর তুলে স্বামীর সাথে বসবাস করেন। 
দারিদ্রতার কষাঘাতে যখন জর্জরিত সীমা আক্তার ঠিক তখনী প্রতিবেশী একজনের কাছে সরকারের ভিজিডি কর্মসূচীর কথা জানতে পারলেন। স্থানীয় মেম্বারের সহযোগীতায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভিজিডির সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেন তিনি। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আর্থিক অবস্থা বিবেচনা পূর্বক উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিস থেকে তাকে ভিজিডি ২০১৯-২০২০ চক্রে ২৪ মাসের জন্য সদস্য হিসাবে মনোনিত করা হয়। তারপর থেকে সীমা আক্তার নিয়মিত মাসে ৩০ কেজি করে চাল পান। ভিজিডির চাল পাওয়ার  পর থেকে তার পরিবারে খাদ্যের অভাব অনেকটা দূর হয়, তিনি সঞ্চয় করতে উদ্বুদ্ধ হন।  স্যোসাল আপলিফটমেন্ট সোসাইটি (সাস) এনজিও কর্তৃক ভিজিডি সদস্যদের জন্য পরিচালিত বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে প্রশিক্ষন নেন তিনি। প্রশিক্ষন শেষে  প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে পরিবারের অভাব ধীরে ধীরে দূর করতে  কাজ শুরু করেন তিনি। বাড়ীর আঙ্গিনায় হাঁস মুরগি পালন ও শাকসবজি চাষ করে সফলতা পান তিনি 
সীমা আক্তার বলেন “আগে আমার সংসারে অভাব লেগেই থাকত। তিন বেলা পেটভরে সন্তাদের খেতে দিতে পারতাম না। তাই তারা পুষ্টিহিনতায় ভুগত। তাদের লেখাপড়ার খরচ ঠিকমত দিতে পারতাম না। সারাক্ষন চিন্তায় থাকতাম। ভিজিডি সদস্য ওয়ার পর থেকে আমার পরিবারের সচ্ছলতা আসতে থাকে। আমি স্যোসাল আপলিফটমেন্ট সোসাইটি (সাস) এর মাধ্যমে  প্রশিক্ষন নিয়ে হাঁস, মুরগি পালন ও শাকসবজি চাষ করছি এতে আমি আমার পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে বিক্রয় করতেও পারছি।  আমি আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছি। বর্তমানে আমার দুই মেয়ে এক ছেলে পড়াশুনা করছে। আমি আগের চেয়ে ভালো আছি। আমার সংসার ভালভাবে চলছে আমি মাননীয় প্রধান মন্ত্রিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি”।  


আসমা বেগমঃ-
মোবাইল- ০১৯৫৫৮৬৩৬২৭
সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়েনে ১নং ওয়ার্ডের কাচারীপাড়া গ্রামে ছোট একটি টিনের ঘরে দিনমজুর স্বামী আলিম উদ্দিন এর সাথে ১(এক) ছেলে নিয়ে বাস করেন আসমা বেগম। তিনি ভিজিডি ২০১৯-২০২০ চক্রের একজন সদস্য। এক সময় অভাব অনটন ছিল তার নিত্য সঙ্গী। ঠিকমত তিনবেলা খাবার যোগাড় করা তার জন্য ছিল ভীষণ কষ্টকর। স্বামীর স্বল্প উর্পাজন দিয়ে সংসার চালাতে যখন হিমসিম খাচ্ছিলেন তখনই তিনি সরকারের ভিজিডি কর্মসূচির কথা প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারেন। স্থানীয় মেম্বারের সহযোগীতায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভিজিডির সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আর্থিক অবস্থা বিবেচনা পূর্বক উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিস থেকে তাকে ভিজিডি ২০১৯-২০২০ চক্রে সদস্য হিসাবে মনোনিত করা হয়। তারপর থেকে আসমা বেগম নিয়মিত মাসে ৩০ কেজি করে চাল পান। ভিজিডির চাল পাওয়ার  পর থেকে তার পরিবারে খাদ্যের অভাব অনেকটা দূর হতে থাকে। তিনি সঞ্চয় করতে উদ্বুদ্ধ হন। স্যোসাল আপলিফটমেন্ট সোসাইটি (সাস) এনজিও কর্তৃক ভিজিডি সদস্যদের জন্য পরিচালিত বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে প্রশিক্ষ নেন। প্রশিক্ষন শেষে  প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে পরিবারের অভাব ধীরে ধীরে দূর করতে  কাজ শুরু করেন তিনি। বাড়ীর আঙ্গিনায় হাঁস মুরগি পালন ও শাকসবজি চাষ করে সফলতা পান তিনি 
আসমা বেগম বলেন “আমি এখন খুশি। আমার সংসারে এখন অভাব অনেকটাই কমে গেছে। ভিজিডি সদস্য হওয়ার পর থেকে আমার পরিবারের সচ্ছলতা আসতে থাকে। আমি স্যোসাল আপলিফটমেন্ট সোসাইটি (সাস) এর মাধ্যমে প্রশিক্ষন নিয়ে  বাড়ীর আঙ্গিনায় হাঁস, মুরগি পালন ও শাকসবজি চাষ করছি। এতে আমি আমার পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে বিক্রয় করতেও পারছি। আমি আর্থিক ভাবে লাভবান  হয়েছি। আমি আগের চেয়ে ভালো আছি আমার সংসার ভালভাবে চলছে। আমি মাননীয় প্রধান মন্ত্রিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি”।