Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
‘‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ ২০১৭" ‘সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান’ ক্যাটাগরীর প্রার্থীর জীবন বৃত্তান্ত
ডাউনলোড

‘‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ ২০১৭" ‘সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান’ ক্যাটাগরীর প্রার্থীর জীবন বৃত্তান্ত

 

 

১ . নাম                 : হেলেনা

২. পিতা/স্বামীর নাম  : মোঃ রমজান আলী

৩. মাতার নাম         : সখিনা বেগম

৪. বর্তামান ঠিকানা    : গ্রামঃ মাছুর পাড়া,শাহবাজপুর ইউনিয়ন,সরাইল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

 

৫. স্থায়ী ঠিকানা       : গ্রামঃ মাছুর পাড়া,শাহবাজপুর ইউনিয়ন,সরাইল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

 ৬. বয়স                : ৮/১০/১৯৬২

৭. বৈবাহিক অবস্থান  :স্বামী পরিত্যক্তা

৮. শিক্ষাগতযোগ্যতা  : ৫ম  শ্রেণি

                         

আমি একজন নির্যাতনের শিকার স্বামী পরিত্যক্তা নারী । ছোট বেলায় আর্থিক অনটন এবং পরিবারের সচেনতার অভাবে ৫ম শ্রেণী পাশের পর লেখা পড়াব বন্ধ হয়ে যায়। এবংমাত্র ১৩ বছর বয়সে বিবহিত জীবন শুরম্ন হয়। অল্প বয়সে স্বামীর সংসারে এসে আর্থিক অনটন এবং স্বামীর জীবনে নির্যাতনের র্দুবিসহ উঠে আমার জীবন। স্বামী একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা করে সামান্য র্উপাজন করত।   কিমত্ম সংসারের খরচ মেটানোর ক্ষেত্রে সে ছিল উদাসিন ।    স্বামীর সংসারে এসে ও  অন্যের বাড়িতে কাজ করে কখনো বাবার বাড়ি হতে সাহায্য এনে কোন মতে খেয়ে পড়ে এবং  সমত্মানদের লেখাপড়া চালাতে  থাকি। উলেস্নখ্য যে,১৯৯৫ সালে বিয়ের প্রায় ১৩ বছর পর হঠাৎ  করেই আমার স্বামী নিখেঁাজ হয়ে যায়। এসময় তাঁর অনেক আর্থিক দেনা থাকায় পাওনাদার গন আমার নিকট চাপ সৃষ্টি করলে আমি অনেক কষ্টে এসকল দেনা পরিশোধ করি। স্বামীর কোন খোজ খবর না পেয়ে ৫টি সমত্মান (২টি ছেলে ৩টি মেয়ে)নিয়ে অনেক কষ্টে চলতে হয়। অভাবের কারনে ছেলেদের চায়ের দোকানে কাজে দেই। অন্যের বাড়িতে কাজ করে ৫ম শ্রেনি পর্যমত্ম মেয়েদের লেখাপড়া করাই। প্রায় ৫বছর পর আমার স্বামী তার আর  এক সএী্এবং এক সমত্মান নিয়ে এসে হাজির হয়। ফলে আমার জীবনের নির্যাতনের নতুন মাত্র শুরম্ন হয়। এ সময়ে আমি আর নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেই এবং এটাকে জীবনের নিয়তি ভেবে একা থাকার সিন্ধামত্ম গ্রহন করি। অন্যের বাড়িতে কাজ করে অতি কষ্টে পরিবারের হাল ধরি এবং আমার মেয়েদের পড়াশুনা চালিয়ে যাই। এ দিকে ২০১৬ সালে আমি আমার স্বামীর এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করে বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়।   সংসার জীবনে নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে বর্তমান আমি অসচ্ছল জীবন যাপন করলে ও মানসিক শক্তি আমাকে অনেক দূর্এগিয়ে নিয়ে এসেছে বলে আমি বিশ্বাস করি। এই পেশার পাশাপাশি আমি গ্রামে সেবিকার কাজ করি এবং সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখি।

 

 

পরিশেষে আমি বিশ্বাস করি  দৃঢ় ইচ্ছা ,পরিশ্রম এবং মনোবল থাকলে সফলতা একদিন আসবেই।                            

                                                           

 

                                                                                                         হেলেনা